সমকাল – ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮
পূর্ব-পশ্চিমে লম্বালম্বি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ। পাশেই কেওড়া কাটা খাল। ভাটার সময় তখন। খালের পানি কমে গিয়ে কাদা দেখা যাচ্ছে। এখানে ওখানে গোলপাতা, কেওড়া গাছের সারি। বাঁধের দু’ধারেই লম্বা ঘরের সারি। এক পাশের ঘরগুলো মজবুত ভিতের ওপর। তবে খালের দিকের ঘরগুলো জীর্ণ ছনের। খুলনার কয়রা উপজেলার ১ নং কয়রার টেপাখালী গ্রামের এই এলাকায় আদিবাসী মুন্ডাদের বাস। এখানে বাস করে ৪২ ঘর মুন্ডা, যারা মূলত কৃষিজীবী। মাছ ধরতে ও বনে গিয়ে মধু সংগ্রহে খুব কমই যায় তারা।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি জমি কমে যাওয়ায় বর্তমানে টেপাখালীর মুন্ডাদের পেশাতেও পরিবর্তন আসছে। ইটভাটা শ্রমিকের কষ্টকর কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। অনেকেই জমি-ভিটে বেচে এলাকা ছাড়ছে।
হচ্ছে দেশান্তরী। শুধু টেপাখালী গ্রামেই নয়, আশপাশের সব মুন্ডা বসতিতেও দেখা মিলবে একই চিত্রের। খুলনা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার ৩০টি গ্রামে মুন্ডারা বসবাস করে।
বিস্তারিত সমকাল পত্রিকায়